নিজস্ব সংবাদদাতা: বড়সড় করোনা আক্রান্তের মুখে এবার সবং। সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা সবং থানার ১০জন করোনা যোদ্ধা এক সাথে আক্রান্ত হলেন করোনায়। শুক্রবার সকালেই এঁদের আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হয় যেখানে একই সাথে পজিটিভ লক্ষ্য করা যায় এই পুলিশ কর্মীদের। সবং গ্রামীন হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে এদিন একই সাথে ৪৫ জন পুলিশ কর্মীর আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করা হয় যার মধ্যে পুলিশ কর্মীরা ছাড়াও সিভিক ভলান্টিয়ার, এনভিএফ কর্মীরাও ছিলেন। স্বস্তির বিষয় এই যে এই ৪৫ জনের মধ্যে সবং থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুব্রত বিশ্বাসও ছিলেন কিন্তু তিনি নেগেটিভ হয়েছেন। না’হলে তাঁর অনুপস্থিতে থানার কাজকর্ম পরিচালনা করতে যথেষ্টই বেগ পেতে হত।
আরও পড়ুন – সবং হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত নার্স, ৪৮ ঘন্টায় আক্রান্ত ১৫জন, ৭৫ ছাড়িয়ে গেল সংক্রমন
জানা গেছে প্রথমে ওই থানার একজন এনভিএফ কর্মী প্রথমে করোনা আক্রান্ত হন। এরপরই থানার সমস্ত কর্মী নিজেদের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন কিন্ত গত কয়েকদিন ধরেই জেলার করোনা পরীক্ষা হচ্ছেনা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাবের চার কর্মী সংক্রমিত হওয়ার পরই দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সমস্ত নমুনা পাঠানো হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালে। সেই ফলাফল আসতে যথেষ্ট দেরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সবং থানার পুলিশ কর্মীরা গ্রামীন হাসপাতালে গিয়ে একই সাথে আ্যন্টিজেন পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মত ৪৫জন শুক্রবার আ্যন্টিজেন পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন।
আরও পড়ুন – সবং হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত নার্স, ৪৮ ঘন্টায় আক্রান্ত ১৫জন, ৭৫ ছাড়িয়ে গেল সংক্রমন
জানা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে ২জন এএসআই, ২জন এসআই, ২জন সিভিক ভলান্টিয়ার। বাকিরা কনস্টেবল ও এনভিএফ কর্মী। যদিও প্রত্যেকেই উপসর্গহীন বলেই জানা গেছে। ঘটনার পরই সবং থানার একটি আবাসনকে অস্থায়ী সেফ হোম তৈরি করে ৮ জনের স্থান সংকুলান করা সম্ভব হয়েছে বাকি ২জনকে পাঠানো হচ্ছে ডেবরা হাসপাতালের আওতাধীন সেফ হোমে। উল্লেখ্য গোটা সবং জুড়েই ৭৫ জনের মত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারাও গেছেন তিনজন। এই সমস্ত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পৌঁছানো, তাঁদের জন্য কন্টেনমেন্ট জোন করা এই গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন থানার কর্মীরা।
এদিকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে শুক্রবার আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করার পরই পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন সহকারি হাসপাতাল সুপার সোনালী আলু। তিনি হাসপাতালে সদ্য চালু হওয়া সেফ হোমের দায়িত্বে ছিলেন। শুক্রবার সকালেও কাজ করছিলেন তিনি। সামান্য সর্দি বোধ হওয়ায় আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করান তিনি।