নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘ লড়াই করে করোনা জয় করে বাড়ি ফিরছিলেন মহিলা কিন্তু শেষরক্ষা হলনা। বাড়িতে থাকার ২৪ঘন্টা পের হলনা মারা গেলেন করোনা জয়ী মহিলা। খড়গপুর শহরের আরামবাটি এলাকার ষাটোর্ধ মহিলা সন্ধ্যা রানী পড়িয়া ভর্তি ছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। দীর্ঘ চিকিৎসা পর্বে হাসপাতালে রুটিন পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে।
এরপরই শালবনী পাঠানো হয় তাঁকে সেখানেই সপ্তাহ খানিক ছিলেন। সেখানে করোনা পরীক্ষায় দু’দফায় নেগেটিভ ফল আসার পরই বুধবারই তাঁকে শালবনী থেকে বাড়ি ছেড়ে দিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে সম্প্রতি ক্যানসার ধরে পড়েছিল তাঁর। মেদিনীপুর শহরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে টিউমার অপারেশন হয় তাঁর। পরে বায়োপসি রিপোর্টে দেখা যায় ক্যানসার হয়েছে তাঁর।
এরপরই প্রথমে বাঁকুড়ার এক চিকিৎসকে দেখানো হয় তাঁকে। এরপরও শরীর খারাপ হতে থাকলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।১৫ই আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই ১৭ তারিখ তাঁর নমুনা সংগ্ৰহ করা হয় করোনা পরীক্ষার জন্য। ১৮তারিখ পজিটিভ আসার পরই ওই দিনই রাতে শালবনী করোনা হাসপাতালে পাঠানো হয় তাঁকে। টানা ৭ দিন সেখানেই ছিলেন তিনি।সেখানেই পর পর দুবার নেগেটিভ হওয়ার পরই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতই বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয় তাঁকে।
আরামবাটির এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “দুদিন আগেই নেগেটিভ ফল আসার পর খুশি হয়েছিলাম আমরা। আরামবাটি সংলগ্ন এলাকায় উনি ছিলেন প্রথম আক্রান্ত। স্বাভাবিক ভাবেই ওনার করোনা জয় করাটা আমাদের জন্য খুশির খবর ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় শালবনী হাসপাতালের গাড়ি এসে ওনাকে ছেড়ে দিয়ে যায়। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, দু’একদিনের মধ্যেই ওনার সঙ্গে দেখা করে আসব। একে বয়স্ক তাঁর ওপর ক্যানসার আক্রান্ত। সেই অবস্থাতেও উনি ক্যানসার জয় করেছেন এটা কম কথা নয়।”
স্থানীয় এক চিকিৎসক মৃত্যু নিশ্চিত করে বলেছেন হৃৎযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ করার মৃত্যু হয়েছে তাঁর। করোনা মুক্ত ছিলেন তাই অনায়াসে মালঞ্চ শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে তাঁর।