নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘কাটমানি’ বিতর্কে জড়িয়েছেন এক তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর। এলাকাজুড়ে তাঁর নামে চলছে লিফলেট বিলি। বদনামে নাজেহাল ওই তৃনমূল নেতার অনুগামীদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। তাঁকে বাঁচাতে গেলে স্ত্রী ও পুত্র প্রহৃত হন বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের সাঁইথিয়ার ঘটনায় ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য সাঁইথিয়ার ১৪ নং ওয়ার্ড এলাকার দুর্গাতলায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। ওই এলাকার কাউন্সিলরের স্বামী অম্বিকা দত্ত আবাস যোজনা, রাস্তা নির্মাণ-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে কাটমানি নিয়েছেন, এই অভিযোগে হ্যান্ডবিল বিলি করা হয়। অম্বিকা দত্তর অনুগামীদের অভিযোগ, এলাকার চিকিৎসক বিশ্বনাথ ঘোষাল নিজেই এই হ্যান্ডবিলগুলি এলাকাবাসীর হাতে তুলে দিচ্ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে এই ছবি ধরা পড়েছে বলে দাবি তাঁদের। প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে চিকিৎসক বিশ্বনাথ ঘোষালের বিরুদ্ধে সাঁইথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অম্বিকা দত্ত নিজেই। এই নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিবেশ ছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপর, শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে বেরনোর সময়ে চিকিৎসকের দুর্গাতলার বাড়ির সামনেই তাঁকে ঘিরে ধরেন অম্বিকার দত্তর অনুগামীরা। মাটিতে ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা কাউন্সিলরের স্বামী অম্বিকা দত্ত। এই সময়ে ঘর থেকে গন্ডগোলের আঁচ বুঝে চিকিৎসকের স্ত্রী এবং পুত্র তাঁকে বাঁচাতে যান। অভিযোগ, তাঁদেরও হেনস্তা করা হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অম্বিকার অনুগামীরা বারবার বলতে থাকেন, সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসক হ্যান্ডবিলগুলি ছড়িয়ে দিচ্ছেন। গোটা ঘটনার নেপথ্যে এই চিকিৎসকের ভূমিকা প্রমাণিত। এই দাবি করে বিশ্বনাথবাবুকে আরও প্রহার করা হয়। অম্বিকা দত্ত এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে সাঁইথিয়া থানায় পালটা অভিযোগ দায়ের করেছে চিকিৎসক বিশ্বনাথ ঘোষালের পরিবার। স্রেফ সিসিটিভির ফুটেজের উপর ভিত্তি করে একজন চিকিৎসককে এভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়েছে। ঘটনায় কুলুপ এঁটেছেন তৃনমূল নেতারা।