নিজস্ব সংবাদদাতা:খড়গপুর শহরে বোনের বাড়ির অদুরেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রাজ্য পুলিশের এক কনস্টেবলের। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের গা ঘেঁষে চলে যাওয়া হাওড়া-মুম্বাই ৬নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর বরগাই মোড় সংলগ্ন এলাকায়। খড়গপুর গ্রামীন থানার আওতাধীন জায়গাটির নিয়ন্ত্রক সাদাতপুর ফাঁড়ি। পুলিশ জানিয়েছে মৃত কনস্টেবলের নাম বামাপদ সাহু।
৪৪ বছর বয়সী সাহু উত্তর ২৪পরগনার বারাসত পুলিশ জেলার শাসনে কর্তব্যরত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের কর্মস্থল থেকে সরাসরি নিজেই গাড়ি চালিয়ে নিজের গ্রাম ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানা এলাকার হাড়দায় ফিরছিলেন বামাপদ সাহু। ঘটনার সময় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। ঘটনা স্থলের কাছাকাছি একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা রয়েছে। সেখানেই খনিজ দ্রব্য সরবরাহ কারী একটি ডাম্পার যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে অচল হয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। দ্রুত গতি সাহু তাঁর মারুতি অল্টো গাড়িটি সরাসরি ওই ডাম্পারের পেছনে ধাক্কা মারেন। দুমড়ে মুচড়ে কার্যত ডাম্পারের পেছনে খাঁচাবন্দি হয়ে যায় গাড়িটি।
সাদাতপুর থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘অত্যধিক বৃষ্টির কারনে দৃশ্যমানতা এতটাই কম ছিল যে ওই কনস্টেবল কিছু বোঝার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয় ওনার। আমাদের টহলরত একটি ভ্যান দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনা স্থলে গিয়ে পৌঁছে উদ্ধার কার্য চালিয়ে ওনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্ৰথমে আমরা ওনার পরিচয় জানতে পারিনি। পরে আই কার্ড দেখে ওনার পরিচয় পাই। ওনার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়।”
বিনপুর পুলিশ জানিয়েছে, মৃত কনস্টেবলের স্ত্রী ও দুই সন্তান ছাড়াও দাদা এবং তাঁর পরিবার রয়েছে। আর রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা। তাঁর এক বোনের বিয়ে হয়েছে খড়গপুর শহরেরই মালঞ্চতে যেখান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দুরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন বোনের পরিবার। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। সোমবার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা বিনপুর রওনা দিয়েছেন। সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতেই তাঁর সৎকার কার্য শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। ছবি-প্রতীকী