নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের করোনা সংক্রান্ত ফলাফলে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের প্রাপ্ত আক্রান্তের সংখ্যাকে টেক্কা দিল রেল হাসপাতালের পাঠানো নমুনা থেকে প্রাপ্ত আক্রান্তের সংখ্যা। রেল হাসপাতালের নমুনা থেকে যেখানে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মহকুমা হাসপাতালের তালিকায় সেখানে যুক্ত হয়েছে শহরের ১৩জনের নাম। অন্যদিকে আইআইটি খড়গপুরের এদিন নতুন করে ৩ আক্রান্তের সন্ধান মেলায় শহরের সংক্রমন তালিকায় নতুন করে ৩৩আক্রান্ত যুক্ত হল।
রবিবারের তালিকায় সবচেয়ে বড় সংখ্যায় সংক্রমনের সন্ধান মিলেছে ইন্দা বামুনপাড়ার আমডাঙ্গাতে। আক্রান্ত হয়েছেন একই পরিবারের ৫ জন। যদিও বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক পূর্ব আক্রান্তকে ধরলে মোট ৬জন আক্রান্ত ওই পরিবারের। পরিবারের সর্বোচ্চ বয়স্কা গৃহকর্ত্রীর বয়স ৭৫বছর আর সর্ব নিম্ন ২২বছরের। পরিবারের সদস্য রেলে চাকরি করায় সবাই রেল হাসপাতালেই নমুনা দিয়েছিলেন। আশ্চর্ষ জনক ভাবে এক গৃহবধূ রক্ষা পেয়েছেন নচেৎ সবাই পজিটিভ। জানা গেছে পরিবারের বয়স্ক প্রায় ৮০বছরের কর্তা যিনি বর্তমানে আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।
তিনি আক্রান্ত হওয়ার আগে পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য শহরের একটি নামি ডায়গনিস্টিক সেন্টারে গিয়েছিলেন
। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের সম্মুখেই অবস্থিত ওই সেন্টার থেকে বাড়িতে ফেরার ২ দিন পরই জ্বরে পড়ে যান তিনি। এরপর তাঁকে নিয়ে রেল হাসপাতালে যান তাঁর ছেলেরা। সেখান থেকে নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ হয়ে পড়েন তিনি। বৃদ্ধ বর্তমানে রেল হাসপাতালে ভর্তি। এরপরই একে একে জ্বরে পড়তে শুরু করেন বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছেলেরা। নমুনা পরীক্ষার পর সবাই আক্রান্ত জানা যায়। ব্যতিক্রম একজন পুত্রবধূ। বাড়ির একাধিক ব্যক্তি জ্বরে আক্রান্ত। পরিবারের দাবি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকেই সংক্রমিত বৃদ্ধ।
শহরের একেবারে প্রান্তিকে বারবেটিয়ায় একই পরিবারের তিন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। পারিবারে একধিক সদস্যের সংক্রমনে ইন্দা কমলাকেবিন, ভবানীপুরও। পরিবারের ২জন করে একই দKিনে আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়েছেন। ভবানীপুর এলাকার সুকান্তপল্লীতে একটি মেস বাড়িতে আক্রান্ত রেলের তিন কর্মচারী। এঁদের মধ্যে একজন মাঝে মধ্যেই কলকাতার বাড়িতে যাতায়ত করেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং তাঁর থেকেই বাকিরা আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন আক্রান্ত এলাকার তালিকায় ৩৬ পাড়া, সাউথ সাইড, বিবেকানন্দ পল্লী, খরিদা, পুরিগেট, তালবাগিচা, প্রেমবাজার, ইন্দা শরৎ পল্লী, কুমারপাড়া উঠে এসেছে। নজির বিহীন ভাবে আইইটি ক্যাম্পাসে নতুন করে ছড়ানো সংক্রমনে আক্রান্ত ২ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ও বিসি রায় হাসপাতালের এক স্বাস্থ্য কর্মী। গত চারদিনের মাথায় আইআইটিতে এটি দ্বিতীয় সংক্রমন। এর আগে আরেক পড়ুয়া আক্রান্ত হয়েছিলেন। যিনি কলকাতায় ভর্তি। বাকিদেরও কলকাতায় পাঠানো হতে পারে। শহরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেল এদিন।