অরুণ কুমার সাউ , তমলুক : মঙ্গলবার , ৩ রা মার্চ থেকে শুরু হলো ষষ্ঠ বর্ষ আন্ত: বিদ্যালয় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা।আয়োজনে তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাব । এছাড়াও রয়েছে ৩১ তম আমন্ত্রণমূলক একাঙ্ক নাটক । সংস্থার পক্ষ থেকে জানা যায় ৩ তারিখ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত হবে স্কুল ভিত্তিক একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা। ৬ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত থাকছে আমন্ত্রণমূলক নাটক। বিদ্যালয় ভিত্তিক একাঙ্ক নাটক অনুষ্ঠিত হচ্ছে তমলুকের সুবর্ণজয়ন্তী ভবনে।
আমন্ত্রণমূলক দলভিত্তিক একাঙ্ক নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মার্চ বিকাল ৫ টা থেকে তমলুকের মহেন্দ্র স্মৃতিসৌধ সদনে। মঙ্গলবার উদ্বোধনী নাটক পরিবেশন করে মোহার বি. এম হাই স্কুল। তাদের নাটক ছিল “চমচম কুমার”। সান্ধ্য কালীন নাট্য পরিবেশন করে হলদিয়ার সংশপ্তক নাট্য গোষ্ঠী। তাদের নাটক ছিল “মাতাদোর”। এ বছর বাইরের জেলা থেকেও বিদ্যালয় এসেছে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে।
একাঙ্ক নাট্য উৎসবে যেসকল দলগুলি নাটক পরিবেশন করবে তারা হল শ্রীরামপুর ‘আমরা নাট্যকর্মী’, বালিগঞ্জ ‘ব্রাত্যজন’, তমলুকের ‘সৃজক’, কলকাতার ‘থিয়েলাইট’ , হাওড়া ‘অনামী অঙ্গন’, উত্তর ২৪ পরগনার ‘অশোকনগর নাট্যমুখ’ , হুগলি জেলার রানিকুঠি ‘জিয়ন কাঠি’, চন্দননগরের ‘রাঙ্গপিঠ ‘ , হুগলি জেলার ‘থিয়েটার প্রসেনিয়াম’, মহিষাদলের ‘শিল্পকৃতি’, হরিদাসপুর ‘নটমহল’ । তমলুক আনন্দলোক ড্রামাটিক ক্লাবের সহ সম্পাদক অরিন্দম প্রধান জানান,
” আন্তঃবিদ্যালয় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় যে সকল বিদ্যালয় এখনো পর্যন্ত অংশগ্রহণ করে তাদের সেরাটা তুলে ধরেছে দর্শকদের কাছে ভাবতে পারিনি এমন সাড়া পাব। বিদ্যালয়ের এক একটি ছাত্র ছাত্রী যখন মঞ্চে অভিনয় করছে তখন মনে হয় না এরা কেবল আমাদের উৎসব এর জন্যই নাটক করছে। দেখে মনে হয় এরা আগামীদিনের এক একজন বড় অভিনেতা অভিনেত্রী। তিনি আরো বলেন, যত কষ্টই হোক আমরা এই প্রয়াস চালিয়ে যাব সেইসঙ্গে নাট্যোৎসবে আরো বেশি বেশি দল নিয়ে আসার চেষ্টা করব'”।