✍️কলমে: অমৃতা খেটো
১.
রাধাপদ্ম
বৃষ্টি থেমে গেছে। বিকেল একটু তাড়াতাড়ি এলো।পুরনো শিরীষ গাছটাকে পেছনে ফেলে নদীর কাছে গেলাম। বৃষ্টিতে স্নান সেরে নিয়েছে নদী।
তার ভিজে বেণীটি হাতে নিয়ে
জুঁইয়ের মালা জড়ালাম। তাকে দুটো পুরনো কবিতা পড়ে শোনালাম। ছেঁড়া পাতায় নৌকা বানিয়ে
নদীকে দিলাম।
অক্ষরগুলো নৌকোয় বসে জীবন্ত মানুষের মতো
বৈঠা বাইলো। সন্ধ্যা হয়ে এলো।
জোনাকিরা চোখে হীরের প্রদীপ
জ্বেলে নাচতে লাগলো। কদমবন এগিয়ে এলো, নদী হাসতে হাসতে নীল যমুনা…। রাধাপদ্ম চারপাশে ভাসতে লাগল। কৃষ্ণগন্ধী বাতাস আর বাঁশির সুর শুনে ভ্রম হলো । তবে কি দ্বাপর যুগ!
আমি তো এক কবিমাত্র…..
২.
চূতমঞ্জরি
এত যে পলাশ-বৃষ্টি চৈত্র দুপুরে
রূপসী ঘুঘুর চোখ লাল হয়ে যায়,
হলুদ শাড়িটি পরে নুপূর -বালিকা
বসন্তের হাত ধরে পলাশ মাড়ায়।
দিগন্তরেখায় আকাশ ঝুঁকে পড়েছে
এঁকে দিচ্ছে স্বর্ণ কুমকুমের পত্রলে খা
নিজস্ব নদীতে পরম সুখের ঢেউ খেলছে
দু একটা লঘু মেঘ ভাসছে একা একা।
৩.
শ্রাবণীসাজ
বৃষ্টিভেজা
কদমফুল যেন
শ্রীময়ী রাধা
মৃদঙ্গ মুরলী বাজছে অতি ধীরে
বাঁশি বাজলে ছুটে আসবে গো বৎস
শ্রাবণ গাইছে গান মেঘমল্লারে।