নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা আবহে নয়া নির্দেশিকা জারি করল সরকার। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্লক থেকে শুরু করে জেলা স্তরের আধিকারিকদের সাক্ষাৎ প্রার্থী হতে গেলে করোনা নেগেটিভ বা করোনা মুক্ত সার্টিফিকেট রাখতে হবে এবং সেই সার্টিফিকেটটি ১০দিনের মধ্যকার হতে হবে। সার্টিফিকেটের মেয়াদ ১০দিন পেরিয়ে গেলে সেই সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাবে। পুনরায় করোনা পরীক্ষা করিয়ে ফের করোনা মুক্ত সার্টিফিকেট সংগ্ৰহ করতে হবে আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে।
১৪ ই আগষ্ট এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক রশ্মি কমল। সন্ধ্যার আগেই সেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে সর্বত্র। আগামী ১৬ই আগষ্ট থেকে বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যালয়, ভবনের সামনে এই নির্দেশ বড় আকারে ব্যানার করে টাঙিয়ে দেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে।
কারন হিসেবে নির্দেশিকাতেই স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, যেভাবে বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক কর্তারা করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন এমনটা চলতে থাকলে জেলা প্রশাসনের কাজ চালানোই মুশকিল হয়ে পড়বে। কিভাবে এই করোনা মুক্ত সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে তাও বলে দেওয়া হয়েছে এই নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে করোনার উপসর্গ হিসাবে জ্বর, সর্দি কাশি, শ্বাস কষ্ট না থাকলেও করোনা পরীক্ষা করান। যেহেতু এখন সমস্ত ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গ্রামীন হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, আয়ুস হাসপাতালে আ্যন্টিজেন পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে তাই সবাই পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারে।
অন্যদিকে উপসর্গ থাকলে আরটি/পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে যার জন্য উল্লেখিত জায়গা গুলিতেই নমুনা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এই পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলেই স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে একটি সার্টিফিকেট দেবেন করোনা মুক্ত বলে। কোনও আধিকারিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এই সার্টফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে সার্টিফিকেটটি যেন ১০দিনের বেশি না।
উল্লেখ্য করোনা সংক্রমনের কালে দাঁড়িয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, পুলিশ ইত্যাদিরা যেমন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তেমনি সরকারি কর্মী আধিকারিকরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি জেলার চন্দ্রকোনা ১ ও কেশিয়াড়ির বিডিও করোনা মুক্ত হয়েছেন। প্রশাসনের আধিকারিকরা আক্রান্ত হলে থমকে যাচ্ছে উন্নয়ন ও মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ। একজন আক্রান্ত হলে কোয়ারেন্টাইনে যেতে হচ্ছে অনেককেই। স্তব্ধ হয়ে পড়ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সেই পরিস্থিতিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের সাথে কথা বলার সময় মাস্ক তো পরতেই হবে পাশাপাশি দূরত্ব রাখতে হবে ২গজ বা ছ’ফুট।