নিজস্ব সংবাদদাতা: আনলক ইন্ডিয়া পর্বে শুরু হয়েছে যান চলাচল। নতুন করে ভিন রাজ্যের শ্রমিকের দল ভিড় জমাচ্ছে খড়গপুর শহরকে ঘিরে থাকা শিল্পাঞ্চলে। টাটা মেটালিক, রশ্মি সহ ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলিতে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করার জন্য বিহার উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খন্ড প্রভৃতি রাজ্য গুলি থেকে আসা শ্রমিকরা এসে থাকছেন শহর ও শহরতলির বিভিন্ন ভাড়া বাড়ি, বস্তিতে। কোয়ারেন্টাইন নেই, নেই নজরদারি ব্যবস্থা। হাট বাজারে, হোটেল, চায়ের দোকানে মিশে যাচ্ছেন স্থানীয় জনতার সাথে।
গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছিল কারখানার ভেতরে ঠিকাদারের অধীনে কাজ শুরুর আগে কোম্পানীর নিয়ম মেনে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নমুনা দেওয়ার পর এক থেকে একাধিক আক্রান্ত ধরা পড়ছেন। ধরা পড়ার আগে বেশ কয়েকদিন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ফের উত্তর প্রদেশ থেকে আসা এরকমই তিন জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল। জানা গেছে গত কয়েকদিন ধরেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছেন তাঁরা। এরকমই কয়েকশ মানুষ রয়েছেন শহর ও শহরতলিতে।
ওই তিনজন ছাড়াও শহরের ভগবানপুর এলাকায় এক ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা আক্রান্ত হয়েছেন। রাতেই তাকে শালবনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খরিদা ফাটকবাজারে মিলেছে ৫২ বছরের এক মহিলা আক্রান্ত হওয়ার খবর। এই দুজনেরই পরিবারে আগে এক বা একাধিক ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। আগে স্বামী আক্রান্ত হয়েছেন এবার তাঁর স্ত্রীকে আক্রান্ত হতে দেখা গেল বিধানপল্লী এলাকায়। শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় ২২ বছরের এক যুবক আক্রান্ত হয়েছেন। কিছুদিন আগে বারোবেটিয়ায় আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে এঁর যোগাযোগ ও যাতায়ত ছিল। সুভাসপল্লী এলাকার ৩০ বছরের এক মহিলা সবজি বিক্রেতা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া গ্রামীন এলাকার কুঞ্জচক, বলরামপুর ও জফলায় আক্রান্ত হয়েছেন চারজন। এদিন আরও ৩০টি নমুনা অমীমাংসিত এসেছে আর ১০০জনেরও বেশি নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়েছে। এই ১২টি নমুনার মধ্যে শহরে এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন তাই মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৩২ জনে। তাঁর মধ্যে করোনা মুক্ত হয়েছেন প্রায় ২০০ জন। এ অবধি মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের।