নিজস্ব সংবাদদাতা: হুগলির ব্যান্ডেল থেকে ফিরে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ীর এক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন কাটানোর পর ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রামের বাড়ি ফিরে আসার ১ দিনের মাথাতেই করোনা পজিটিভ হলেন দম্পত্তি। যদিও দুজনের শরীরে করোনার কোন উপসর্গ নেই তথাপি পজিটিভ আসায় দুশ্চিন্তায় পরিবার।
ঘটনা নয়াগ্ৰাম ব্লকের বড়খাঁকড়ি অঞ্চলের দেউলবাড় এলাকার। আক্রান্ত হয়েছেন একজন স্বাস্থ্য কর্মী তার বয়স ৫৯ বছর এবং তার স্ত্রী যার বয়স ৪৩ বছর। জানা গেছে এবছরেরই অক্টোবর মাসে অবসর নেবেন ওই স্বাস্থ্য কর্মী। হুগলির ব্যান্ডেল হাসপাতালে কর্মরত ওই ব্যক্তি অবসরের আগে কিছু জরুরি কাজ সেরে ফেলার লক্ষ্যে নয়াগ্রামের বাড়িতে আসার পরিকল্পনা করছিলেন কিন্তু লকডাউনের জন্য সম্ভব হয়ে উঠছিল না।
লকডাউন শিথিল হওয়ার পর ফের গ্রামের বাড়ি আসার উদ্যোগ নেন। গ্রামে ফিরলে যেহেতু কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাই ঠিক করেন কেশিয়াড়ীতে নিজের শ্বশুরবাড়ির সামনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারেই থাকবেন। কারন নিজের বাড়ির সামনে কোয়ারেন্টাইন হলে পরিষেবা জনিত সুবিধা পেতেননা। কেশিয়াড়ি ব্লকের নাপো কলাবনী গ্রামে শ্বশুর বাড়ির গ্রামে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন থাকার পর গত ৪ তারিখ কেশিয়াড়ি থেকে নয়াগ্ৰামে নিজের বাড়ি ফিরে আসেন।
পরের দিনই বেলদার গ্রামীন হাসপাতাল থেকে ফোন করে জানানো হয় তাঁরা যেহেতু ব্যান্ডেল থেকে এসেছেন তাই তাঁদের করোনা পরীক্ষা করতে হবে। ৫ তারিখ ফের কেশিয়াড়ি গিয়ে নমুনা দিয়ে আসেন স্বামী স্ত্রী ও তাঁদের ১৮ বছরের মেয়ে। পরিবারের শুক্রবার রাতে তাঁদের ফোন করে জানানো স্বাস্থ্য কর্মী এবং তাঁর স্ত্রীর করোনা পজিটিভ, কিন্তু মেয়ের রিপোর্ট নেগেটিভ।এখন আক্রান্তরা নয়াগ্ৰামের বাড়িতেই আছেন,আজ সকালে স্থানীয় আশা কর্মীরা জানিয়ে দিয়ে এসেছেন চিকিৎসার জন্য করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে এর আগে বহু ক্ষেত্রেই ১৪দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরই অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন তাঁদের করোনা পরীক্ষা করাই হয়নি কারন ধারনা ছিল যে করোনার লক্ষণ ১৪দিনের মধ্যে দেখা যায়। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে যে, ওই ব্যক্তি যেহেতু করোনা জর্জরিত জেলা থেকে ফিরেছিলেন তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি এবং স্বাস্থ্য দপ্তর যে সঠিক ছিল তা প্রমানিত হল। স্বাস্থ্য দপ্তর আরও জানিয়েছে, বর্তমানে পরীক্ষার সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় সবারই পরীক্ষা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।