নিজস্ব সংবাদদাতা: আক্রান্তের নজির গড়ল খড়গপুর, করোনা কালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে শুধু শহরেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫জন আর গত ২৪ ঘন্টার এই নতুন আক্রান্তের তালিকায় শহরতলির আরও ৭জন নতুন আক্রান্তকে ধরলে বৃহত্তর খড়গপুরে মোট আক্রান্ত ২১ জন। আর আক্রান্তের তালিকায় যে নামটি সবার বিস্ময় জাগাচ্ছে তা’হল রেলের সর্বজন শ্রদ্ধেয় চিকিৎসক ডক্টর অরবিন্দ কুমার জয়সওয়ালের কারন এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলেন তিনি। সপ্তাহ খানেক হল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে করোনা মুক্ত হয়ে নিজের রেল বাংলো তে ফিরেছেন ডক্টর জয়সওয়াল।
এদিনের আক্রান্তের তালিকায় আরও একটি উদ্বিগ্ন হওয়ার মতই চিত্র দেখা গেছে রেল এলাকায়। রেলের মথুরাকাটি এলাকায় মা এবং ১০ বছরের দাদার সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছে একটি ১বছরের শিশু ও। রেল কর্মচারী পরিবারের কর্তা আক্রান্ত হয়েছিলেন কিছুদিন আগেই। এবার চারজনের পুরো পরিবারই আক্রান্ত হয়ে পড়ল বাকি তিনজন আক্রান্ত হওয়ায়।
বৃহস্পতিবার আক্রান্তের তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে শহরের উত্তরে বিদ্যাসাগরপুর থেকে দক্ষিনের শেষপ্রান্ত প্রেমবাজার অবধি বিস্তৃত হয়েছে আক্রান্তের মানচিত্র। বিদ্যাসাগরপুরে এর আগে ডেবরা হাসপাতালের এক মহিলা ল্যাব টেকনিসিয়ানের শাশুড়ি ও সন্তান আক্রান্ত হয়েছিলেন এবার মহিলার শ্বশুর আক্রান্ত হলেন করোনা তে। অন্যদিকে প্রেমবাজারে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ বছরের এক ব্যক্তি।
বিদ্যাসাগরপুর ও প্রেমবাজেরের বাইরে গিয়ে এদিন আক্রান্তের স্থানে উঠে এসেছে সাঁজোয়াল, জৈননগর, ছোট আয়মা, নিউ সেটেলমেন্ট, ইন্দা, মালঞ্চ, দেবলপুর,
মথুরা কাটি, আর পি এফ ব্যারাকের নাম। রেলের ওয়ার্কশপে কর্মরত সাঁজোয়ালের বাসিন্দা ৫৫ বছরের ওয়ার্কশপে কর্মরত ব্যক্তি ও তার স্ত্রী আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে এই সময় কালে বাইরে থেকে আসা মা ও মেয়ে। এঁরা যেমন কটক থেকে খড়গপুর শহরের বাপের বাড়ি নিউ সেটেলমেন্ট এসে আক্রান্ত হয়েছেন তেমনি বিশাখাপত্তন মে বিজয়ওয়ড়া থেকে ছুটি কাটাতে এসে দেবলপুর আর জয়হিন্দ নগরে এসে ফেঁসে গেছেন দুই যুবক। শহরের বাইরে শহর লাগোয়া সালুয়া এবং শ্যামেশ্বরপুরের নাম পাওয়া যাচ্ছে সেখানে বেশ কয়েকজন পজিটিভ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আক্রান্তের তালিকায় দু’জন সুতাহাটার বাসিন্দা রয়েছেন। সব মিলিয়ে এদিন শহরে ১৫টি নাম পাওয়া গেলেও যেহেতু ডক্টর জয়সওয়ালের আগেও একবার করোনা ধরা পড়েছে তাই দুবার ওই সংখ্যা না ধরে ১৪ জন ধরলে শহরের মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৭ জনে। এমনিতেই শহরে কন্টেনমেন্ট জোন ছিল ৪০টি এদিনের ঘটনার পর একলাফে আরো জোনের সংখ্যা বাড়ল।