ওয়েব ডেস্ক : দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোভিড বিশেষজ্ঞদের সুপারিশক্রমে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে ভারতের একমাত্র করোনা গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছুদিন আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বেলেঘাটা আইডিকে কোভিড চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় গবেষণার ক্ষেত্রে সেন্টার অফ এক্সেলেন্স হিসেবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছিলেন। এখানেই রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি করোনা হাসপাতালগুলির ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট প্রোটোকল নির্ধারিত হবে।
এবিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম রবিবার জানান, “দেশের একমাত্র কোভিড গবেষণাকেন্দ্র হিসাবে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালকে গড়ে তোলা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আইসিএমআর-কে আবেদন করা হয়েছে। সবুজ সংকেত পেলেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে।” এবিষয়ে স্বাস্থ্যদফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই বেলেঘাটা আইডি’র চিকিৎসক ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বৈঠকে নাইসেডকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। বৈঠকের পর এসংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট আইসিএমআরে পাঠানো হবে। পাশাপাশি চিকিৎসক-কর্মীদের কাজে গতি আনতে নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্যদফতর। তৈরি করা হবে একটি মনিটরিং টিম। তারা কাজের গতিতে নজর রাখবে তারা।
যেহেতু একমাত্র বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই জলাতঙ্ক-সহ সমস্ত সংক্রামক রোগের চিকিৎসা হয়। সে কারণে এই হাসপাতালকে যদি করোনা হাসপাতাল ও গবেষণাকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যায়, তবে ভবিষ্যতে করোনার পাশাপাশি অন্যান্য সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য অন্য সরকারি হাসপাতালগুলিকে আইডি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। সেখানে অন্য রোগীদেরও চিকিৎসা হবে।
স্বাস্থ্য সচিবের কথায়, “বেহালার বিদ্যাসাগর ও আরেকটি হাসপাতালের কথা ভাবা হছে। সবটাই আলোচনা করে ঠিক হবে। অতিমারী বিশেষজ্ঞ ডা. স্বরূপ সরকারের পরামর্শ মেনেই এই পদক্ষেপ।” স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিকল্পনা সফল করতে ইতিমধ্যে রাজ্যের তরফে দিল্লির এইমস, পুণের ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে তথ্য ও পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। পুরোদমে এই হাসপাতালকে করোনা রিসার্চ ও হাসপাতাল করার লক্ষ্যে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের করোনা বিশেষজ্ঞদের বেলেঘাটা আইডির সঙ্গে যুক্ত করা হবে।
এবিষয়ে মনিটরিং কমিটির সদস্য ডা. কৌশিক চৌধুরী জানাচ্ছেন, “হাসপাতালে পাঁচশো বেড। যার মধ্যে কোভিডের জন্য বরাদ্দ ১১৫টি। পুরোদস্তুর কোভিড চিকিৎসা শুরু হলে বেড বাড়াতে হবে। বাড়বে মাইক্রোবায়োলজিস্ট প্যাথলজিস্টের সংখ্যা। বিভিন্ন বয়সের কোভিড-রোগীর তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা করে অন্য হাসপাতালকে গাইড করবে বেলেঘাটা আইডি।”