ওয়েব ডেস্ক : মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছে মাত্র ৮৪! তার মধ্যে আবার ৭০ নম্বরই পেয়েছে স্কুলের ‘ইন্টারন্যাল ফরমেটিভ ইভলিউশন’-এ। লিখিত পরীক্ষায় মিলেছে বাকি ১৪ নম্বর। মার্কশিট দেখে স্বাভাবিকভাবেই চক্ষু চড়কগাছ এক মেধাবী ছাত্র ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগরে৷ মার্কশিট দেখার পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই পরীক্ষার্থীর খাতা রিভিউ করার নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বাসিন্দা শিবম হালদার জয়নগর জেএম ট্রেনিং স্কুলের ছাত্র। বরাবরই স্কুলের মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত সে। প্রতিবছর স্কুলে ভালো নম্বর নিয়েই পাশ করে। এমনকি টেস্ট পরীক্ষাতেও ৭০ % নম্বর পেয়েছিল শিবম নামের ওই পরীক্ষার্থী। কিন্তু মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের দিন অনলাইনে রেজাল্ট দেখেই হতবাক ওই পরীক্ষার্থী। ৭০০ এর মধ্যে তার প্রাপ্ত নম্বর মাত্র ৮৪। তার মধ্যে ৭০ নম্বরই পেয়েছে স্কুলের ‘ইন্টারন্যাল ফরমেটিভ ইভলিউশন’-এ। বাকি ৬৩০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছে মাত্র ১৪। বিষয়ভিত্তিক দেখলে, সে অঙ্ক, ইংরেজি-সহ পাঁচটি বিষয়ে ৯০-এ পেয়েছে ১, বাংলায় ৯, আর সবচেয়ে অবাক করার বিষয় তার পছন্দের বিষয় হওয়া সত্ত্বেও জীবনবিজ্ঞানে তার প্রাপ্ত নম্বর ০। কিন্তু যে কিনা টেস্ট পরীক্ষায় ৭০% নম্বর নিয়ে পাশ করেছিল, তাঁর মাধ্যমিকের রেজাল্ট কীভাবে এত খারাপ হতে পারে?
এবিষয়ে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, “প্রথমে ওর নম্বরে আমরা চমকে যাই। ভেবেছিলাম হয়তো ভুল দেখাচ্ছে। কিন্তু মার্কশিট হাতে পেয়ে দেখি একই অবস্থা। আমরা ফলাফল পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করব। তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে চাইব।’’ শিবমের প্রাপ্ত নম্বর দেখে পরিবারের পাশাপাশি হতবাক তাঁর স্কুলের শিক্ষকরাও। এমন একজন মেধাবী ছাত্রের এত খারাপ রেজাল্ট হতে পারে তা তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না৷
ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। তিনি জানান, অতি সত্ত্বর ওই পরীক্ষার্থীর খাতা রিভিউ করানোর পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, রিভিউ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে। কিন্তু একেই মহামারির জেরে এই মূহুর্তে ব্যস্ত বিভিন্ন মহল৷ এই পরিস্থিতিতে যদি রিভিউ রেজাল্ট বেরোতে দেরি হয় তবে কি এক বছর নষ্ট হবে শিবমের? এই মূহুর্তে সেই আশঙ্কাতেই রয়েছেন শিবম ও তার পরিবার।