নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার সংক্রমনের মুখে দাঁড়িয়ে ডিআরএম অফিস চত্বর পুরোপুরি বন্ধ করে দিল দক্ষিন পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবারই একটি সার্কুলার জারি করে ডিআরএমের পক্ষ থেকে অফিসের সমস্ত আধিকারিক ও কর্মীদের এই সার্কুলার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
ওই সার্কুলারে জানানো হয়েছে ২৯-৩১ জুলাই ডিআরএম অফিসের মধ্যে থাকা কন্ট্রোল রুম, ডিআরএম অফিসের অভ্যন্তরে থাকা সমস্ত কক্ষ, আধিকারিকদের চেম্বার সমস্ত বন্ধ থাকবে এবং এই তিনদিন ধরে পুরো অফিসই জীবানু মুক্ত করার জন্য স্যানিটাইজেশন করা হবে। এও জানানো হয়েছে এই স্যানিটাইজেশন করার জন্য ফগ ব্যবহার করা হবে।
খড়গপুর ডিভিশনের বরিষ্ঠ বাণিজ্যিক আধিকারিক তথা জন সংযোগ আধিকারিক আদিত্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, “যেহেতু এখন ট্রেন চলাচল করছে তাই আমরা কন্ট্রোল অফিস পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারিনা। সেক্ষেত্রে ঠিক হয়েছে ডিআরএম অফিস সংলগ্ন একটি ভবনে কন্ট্রোল রুমটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা দ্রুত সেই স্থানান্তরের কাজ করছি। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিভাগের সমস্ত আধিকারিক ও কর্মী বাড়িতে থেকেই কাজ করবেন। ২৪ঘন্টা প্রয়োজনে তাঁরা যেন ডাকলেই লভ্য হন সেকারনে মোবাইল ফোন অন রাখতে বলা হয়েছে।”
আসলে গত কয়েকদিন ধরেই রেলের বাণিজ্যিক এবং কন্ট্রোল বিভাগের কর্মীরা একের পর করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমন হয়েছে সোমবার যেখানে একই দিনে ৬ জন আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। রেলের খড়গপুর ডিভিশনে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন রেল সুরক্ষা বাহিনী বা আরপিএফ জওয়ানরা তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ২৫ ছাড়িয়ে গেছে। তার পরেই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন কন্ট্রোল ও কমার্শিয়াল বিভাগের কর্মীরা। সংখ্যাটি প্রায় ১৫জনের কাছাকাছি।
পাশাপাশি একাধিক চিকিৎসক সহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসাকর্মীও আক্রান্ত হয়েছেন। এক ৫৮ বছর বয়সী রেল কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। ফলে ডিআরএম অফিসের অভ্যন্তরে কর্মীদের মধ্যে ভয়ভীতি, আতঙ্ক কাজ করছিল। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত ফের কর্মীদের মনোবলকে চাঙা করে তুলবে নিশ্চিত ভাবে।