বিশেষ সংবাদদাতা: অবশেষে লক ডাউনেই ফিরছে শহর। খড়গপুর মহকুমা প্রশাসনের সময় অনুসারে শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে লক ডাউন যদিও সরকারের ঘোষিত নিয়ম অনুসারে সপ্তাহে ২দিন, বৃহস্পতিবার ও শনিবার লকডাউন থাকছে। আগামী কালই বৃহস্পতিবার তাই ধরে নেওয়াই যেতে পারে যে ১২ঘন্টার মধ্যেই গোটা শহরের লকডাউন চালু হয়ে যাচ্ছে। বুধবার করোনা মোকাবিলার যে টাস্ক ফোর্স রয়েছে তার মিটিংয়েই চূড়ান্ত হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্ততঃ ১৪ দিনের জন্য লকডাউন বলবৎ করা হল। প্রয়োজনে সময় সীমা বাড়ানো হতেও পারে।
বুধবারের টাস্ক ফোর্সের মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর মহকুমা শাসক বৈভব চৌধুরী, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী সামসুদ্দিন আহমেদ, জেলার অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল, খড়গপুর শহরের বিধায়ক প্রদীপ সরকার, খড়গপুর মহকুমা পুলিশ শাসক এসডিপিও সুকোমল কান্তি দাস প্রমুখরা। মিটিংয়ে লকডাউন কার্যকরী করতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খড়গপুর মহকুমা প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, “মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সপ্তাহের ৫দিন সকাল ৬টা থেকে বেলা ১০টা এবং বিকাল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা বাজারের ছাড় থাকছে। ওই সময়ের জন্য খোলা থাকবে বাজারও বাদ বাকি পুরো সময়ই বাড়ির বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ। বাকি ২দিন রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে পুরোপুরি বন্ধ।”
বিধায়ক প্রদীপ সরকার জানিয়েছেন,” দিনের সাড়ে ৬ ঘন্টা খোলা থাকবে নিত্য প্রয়োজনীয় ও জরুরি বিষয়ের কথা মাথায় রেখেই।মাইক প্রচার করে তা জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দয়া করে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। শহরকে বাঁচাতে এর বিকল্প কিছু ছিলনা।”
ইতিমধ্যেই খড়গপুর শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫ছুঁয়েছে, মৃত ৬জন। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে ফের লকডাউন চালু হোক চাইছিলেন অনেকেই। সেই পথেই হাঁটল প্রশাসন। ওই সাড়ে ৬ঘন্টার মধ্যবর্তী সময়ে রাস্তায় বের হলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।গুরুত্ব অনুযায়ী হয়ত ছাড় মিলতে পারে বাইরে বের হওয়ার কিন্তু সেই গুরুত্ব বিচার করবে পুলিশ। পুলিশের চোখে গুরুত্বপূর্ণ বা জরুরি প্রয়োজন মনে না হলে সোজা লক আপেই ঠাঁই হবে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।
এতে অবশ্য সমস্যার মুখে পড়তে পারেন গোলবাজার বা শহরের অন্য বাজার গুলির ব্যবসায়ীরা। তাঁদের বক্তব্য তাঁরা বাজার খোলেনই সকাল ৯টায়। ১ঘন্টার জন্য দোকান খুলে তারা কি করবেন? তাঁদের বক্তব্য তিনটা থেকে সাড়ে ৫টা বাজারে লোক থাকেনা। হয় প্রশাসন পুরো লকডাউন করুক নতুবা ওই টুকু সময়ের জন্য তাঁরা দোকান খুলবেননা। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম বদলে দোকান খুলুন ব্যবসায়ীরা, মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যাবে। নচেৎ বন্ধই রাখুন দোকান। সময়ের নড়চড় হচ্ছেনা।”