নিজস্ব সংবাদদাতা: গত কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম কাটিয়ে কাটিয়ে ধারা শ্রাবনের মুখ দেখল খড়গপুর মেদিনীপুর শহর সহ সংলগ্ন এলাকা। কম বেশি বৃষ্টির মুখ দেখেছে সমগ্র দক্ষিনবঙ্গই। শনিবার রাত থেকেই অল্প বিস্তর বৃষ্টি হচ্ছিল বিভিন্ন এলাকায় তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল রবিবারের বিকেল। এদিন বিকাল ৩টা নাগাদ ঘন হয়ে আসে আকাশ। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি তবে বৃষ্টির তীব্র গতি শুরু হয় সাড়ে তিনটে নাগাদ যা একটানা অবিরাম চলেছে সাড়ে চারটা অবধি। ব্যাপক ধারা স্রোতে এদিন ভেসেছে দুই শহরের রাস্তাঘাট। জল থৈথৈ করছে দুটি শহরের বিস্তীর্ণ এলাকাই।
গত কয়েকদিন ধরে যে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন খড়গপুর মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। সেই গরম তীব্র হয়ে উঠেছিল শনিবার। শনিবার সন্ধ্যা থেকেই অসহনীয় গরম অনুভব হচ্ছিল। অন্যদিকে শনিবারই বিকেল থেকে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল মেঘ। বাতাসের গতিও কিছুটা স্তিমিত হয়ে যায়। এদিন রাতের দিকেই মৃদুমন্দ বৃষ্টি শুরু হয়েছিল যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির লেশ উবে যায়। এরপর দুপুর দুটো অবধি আকাশে মেঘ থাকলেও তা তেমন করে জমাট বাঁধেনি। দুপুর দুটোর পর পশ্চিম উত্তর আকাশে ঘন মেঘের আবির্ভাব হয় এবং শেষ অবধি এই মেঘই ফেটে পড়েছে দুই শহরের মাথায়।
কারন হিসেবে হওয়া অফিস জানাচ্ছে মৌসুমী অক্ষরেখা এখন অমৃতসর, চণ্ডীগর, জামশেদপুর এবং তারপর দিঘা হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উপর ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বজায় থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আর তারই প্রভাবে
হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে সোমবার থেকে ফের ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পরিস্থিতি। এমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখা যেমন সক্রিয় রয়েছে তেমনই সক্রিয় মধ্যপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত। আর তারই জেরে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। এর জন্যই ফের প্রবল বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকছে উত্তরবঙ্গ সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। আজ শনিবার বিক্ষিপ্ত দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের উপরের জেলাগুলিতে অর্থাৎ দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই পাঁচ জেলায়। অন্যদিকে দক্ষিনবঙ্গে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা।