নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুর স্বাস্থ্যদপ্তরের ‘সব কিছু সামলে নিয়েছি’ ভাব উধাও। করোনা কর্কট গ্রাফ ফের উর্দ্ধমুখী, ‘বাইরের কয়েকজন প্রশিক্ষন নিতে আসা জওয়ানের জন্যই একটু গ্রাফ উঠছিল, নচেৎ সব ঠিকই আছে’ আর বলা যাচ্ছেনা কারন শুক্রবার ফের এক লাফে শুধুমাত্র জেলার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ জন, এখানে কোনও বাইরের জল নেই।
সব চেয়ে বড় বিপদের কথা এই যে পরিযায়ী শ্রমিকদের সংক্রমন এখন স্থিমিত আর তা স্বত্ত্বেও করোনার গ্রাফ উর্ধমুখী। আরও বিপদ, করোনা ছড়াচ্ছে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং সাম্যবাদী অতিমারির কবলে এখন চিকিৎসক, চিকিৎসাকর্মী, নার্স ছাড়াও পুলিশ ও প্রশাসক।
শুক্রবার করোনা চিত্রে যুক্ত হয়েছে বেলদা থানার মান্ন্যা, বাস্তুপুরা, হেমচন্দ্র এলাকা থেকে জঙ্গলমহলের গুড়গুড়িপাল থানা এলাকার মালিয়াড়া, আমড়াতলা। অন্যদিকে খড়গপুর গ্রামীন থানার পপরআড়া থেকে ডেবরা থানার বালিচক লাগোয়া ডুয়া এলাকায় সন্ক্রমনের খবর এসেছে।
গ্রামের পাশাপাশি এদিন করোনা সন্ক্রমনে ফের আক্রান্ত হয়েছে খড়গপুর শহর এক মহিলা সমেত শহরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন। একইভাবে মেদিনীপুর শহরে এক প্রখ্যাত চিকিৎসকের সন্তান ও কন্ডাক্টরের পর শুক্রবার নতুন সন্ক্রমনের শিকার হয়েছেন আরেক ব্যক্তি।
গত সপ্তাহ ও চলতি সপ্তাহ মিলিয়ে চারজন চিকিৎসক ও একাধিক নার্স ও চিকিৎসাকর্মীর পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছিলেন বেলদার জোড়াগেড়িয়া ফাঁড়ির এক আধিকারিক। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই ফাঁড়ি। এরপর ৪১ জনের নমুনা সংগ্ৰহ করা হয়। শুক্রবার সেই নমুনা থেকে দুজন কনস্টেবলের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
এদিকে বুধবারই মেদিনীপুর থেকে স্থানান্তরিত হয়ে কেশিয়াড়ীতে কাজে যোগ দেওয়া কমিউনিটি হেল্থ অফিসার আক্রান্ত হয়েছেন খবর পেয়েই তোলপাড় ব্লক অফিস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে হাসপাতালে। তিনি বিডিও অফিস থেকে মিনি মার্কেট ঘুরে বেড়িয়েছেন জানার পর সোয়াবটেস্টের ভিড় শুরু হতে চলেছে। কেশিয়াড়ীর বিডিও সাহেব ও বড়বাবু অন্য একটি সূত্রে আক্রান্তের আশঙ্কায় নমুনা জমা দিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। আর তারমধ্যেই শুক্রবার খবর এসেছে চন্দ্রকোনা ১ বিডিও অভিষেক মিশ্র করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উপসর্গহীন হলেও তাঁকে শালবনী করোনা হাসপাতালে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।