নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের গ্রামের করোনা আক্রান্ত যুবকের কাছাকাছি থাকা ৬ পারিবারিক সদস্যকে নিকটবর্তী সরবেড়িয়া হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে সরিয়ে নিয়ে গেল জেলা প্রশাসন । পাশাপাশি আরও কে কে ওই যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন তার খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবারই ৩০বছরের ওই যুবককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেলেঘাটা আই.ডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার।
কুমার জানিয়েছেন, ” ভিন রাজ্যে সোনার কারিগরের কাজ করা ওই যুবক মুম্বাই থেকে খড়গপুর ও খড়গপুর থেকে ট্রেনে আসার পর সেখান থেকেই গৌরা অবধি একটি মারুতি ওমনি ভ্যানে এসেছিলেন। তারপর বাইকে বাড়ি ফেরেন। আমরা যতদুর খবর পেয়েছি ওই যুবক বাড়ি ফেরার পর খুব বেশি ঘোরাঘুরি করেননি। আমরা তাঁর ঘনিষ্ট ৬জনকে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইনে নিয়েছি। বাকি যদি কেউ তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন বলে মনে করেন যোগাযোগ করুন। আমরা সমস্ত রকম সাহায্য করব।”
পুলিশ সুপার জানান, ‘এই মুহূর্তে জেলায় ২০হাজার মত ব্যক্তি রয়েছেন যাঁরা ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন। এঁদের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে যাতে এঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। পাশাপাশি লকডাউন চলাকালিন ৩০০জন শ্রমিক ফিরেছেন যাঁদের কোয়ারেন্টাইনে বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার আরও জানান, বাইরের রাজ্য থেকে আসা মানুষদের ওপর নজরদারি করার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সঙ্গে সংযুক্ত দুটি জাতীয় সড়কে ১৬ টি পোস্ট করে নাকা চেকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে গুরুত্বপুর্ন আরও একটি ঘোষনা এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে করে জানানো হয়েছে,” করোনা মোকাবিলার মত বৃহৎ পরিসরের কাজে বর্তমান পরিকাঠামো অপ্রতুল। তাই জেলার মানুষদের কাছে স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। কেউ গ্রামে গ্রামে মানুষদের বোঝানো, কেউ হাসপাতালে রুগীর সহায়তা ইত্যাদি নানা কাজে যোগ দিতে পারেন। যদি কাজ করতে চান তবে পুলিশের দেওয়া হেল্পলাইনে ফোন করে নাম রেজিষ্টার করতে পারেন। পুলিশ সময়মত কাজে যোগদানের জন্য ডেকে নেবে। নম্বরটি হল ৮০০১০০৭৮৬৮ ।