নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার বড়সড় সাফল্য ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর। ১২ ঘন্টার লড়াইয়ে পাক সীমান্তের সোপিয়ান জেলায় ৫ পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা। শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দরবানি সেক্টরে পাকিস্তানের
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাগুলি চালানোয় মৃত্যু হয়েছিল একজন ভারতীয় সেনার এক জওয়ানের। রবিবার দক্ষিন
কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় তার জবাব দিল ভারত।
জানা গেছে রবিবার সকাল থেকে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জঙ্গি মারা গিয়েছে। দীর্ঘ ১২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে রেবন গ্রামের এক গৃহস্থের বাড়িতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা ওই সন্ত্রাসবাদীকে খতম করেছে ভারতী সেনা, সিআরপিএফ এবং সোপিয়ান পুলিশের যৌথ বাহিনী। কাশ্মীরের পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার জানিয়েছেন, রবিবার বিকেলে এই অভিযান শেষ হয়েছে। তবে সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে কোনও মৃত্যু হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
কিছু দিন আগে পুলওয়ামা জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হওয়া তিন জঙ্গির মধ্যে জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর এক শীর্ষস্থানীয় কম্যান্ডারের সন্ধান পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, ‘ফৌজি ভাই’ নামে পরিচিত মৃত জঙ্গি আফগান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। বোমা তৈরির বিষয়ে সে অত্যন্ত দক্ষ ছিল বলেও জানা যায়। গত সপ্তাহে পুলওয়ামায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণের মূল কারিগরও ছিল এই প্রবীণ সন্ত্রাসবাদী।
গত এপ্রিল মাস থেকে উপত্যকায় নাশকতাদমন অভিযানের পরিমাণ বাড়িয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। মে মাসে হিজবুল মুজাহিদিন গোষ্ঠীর জঙ্গিনেতা রিয়াজ নাইকু ছাড়াও সংঘর্ষে মারা গিয়েছে আর এক হিজবুল কম্যান্ডার তথা এক বর্ষীয়ান বিচ্ছিন্নতাকামী নেতার ছেলে জুনেইদ সেহরাই।
শনিবারই নিজস্ব সূত্র মারফৎ ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী খবর পায় রেবনে ঘাঁটি গেড়েছে জঙ্গিরা। তাদের লক্ষ্য কাশ্মীরের আরও ভেতরে ঢুকে আসা। শনিবার মধ্যরাতেই সেনা, নিরাপত্তাবাহিনী ও কাশ্মীর পুলিশ রওনা দেয় ঘটনাস্থলে। ভোর বেলায় টনক নড়ে সন্ত্রাসবাদীদের। বাহিনীর অস্থিত্ব টের পেয়েই গুলি চালাতে শুরু করে তারা। পাল্টা জবাব দেয় যৌথবাহিনী। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। গত বুধবার পর্যন্ত চলতি বছরে কাশ্মীরে সংঘর্ষে খতম হয়েছিল মোট ৭৫ জন সন্ত্রাসবাদী। রবিবার আরও ৫মৃত্যু তার সাথে যোগ হল বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযান আরও জোরালো করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা।