নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রধানমন্ত্রী যখন ঘরে ঘরে মোম৯ দিনে সাড়ে চারশ কিলোমিটার হাঁটার পরও বাড়ি রয়ে গেল দুরেই, অকালেই দীপ নিভে গেল ছাত্রেরবাতি জ্বালানোর কথা বলছেন তখনই খবর এসেছে এক ২৩ বছরের ছাত্র চির তরে দীপ নিভিয়ে চলে গেছেন নিজের বাড়ি ফিরতে গিয়ে। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় ফুড প্রসেসিংয়ের ওই ছাত্র তাঁর বন্ধুদের সাথে লকডাউন শুরুর পর তমিলনাডুর নামক্কালে নিজের বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছিল। জানা গেছে টানা ৯ দিন হাঁটার পর তাঁরা সেকান্দ্রাবাদে আসার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছাত্রটি। এরপরই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরই গভীর রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে পুলিশ জানিয়েছে,বৃহস্পতিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
নামক্কালের বাসিন্দা বালসুভ্রমনিয়াম লোগেশ একটি নাগপুর থেকে কিছু দুরে ওয়ার্ধার একটি কলেজে ফুড প্রসেসিং কোর্স করছিলেন। ২৪ শে মার্চ লকডাউন ঘোষণার পরে, লোগেশ এবং অন্যান্য ২৯ জন শিক্ষার্থী তাদের নিজ নিজ জায়গায় পৌঁছতে পায়ে হেঁটে রওনা হয়েছিল। বাড়ি থেকে প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার দুরে থাকলেও তারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে তারা বাড়ি পৌঁছাবেনই।
“বুধবার রাতে, তাদের রাজস্ব এবং পুলিশ কর্মীরা বোয়েনপালি মার্কেট ইয়ার্ডের কাছে তাঁদের দেখতে পান এবং অনুসন্ধান করে জানতে পারেন যে তাঁরা শিক্ষার্থী।’’ মারেদপল্লীর ইন্সপেক্টর মত্তাইয়া জানান,
‘আমরা তাঁদের জানাই লকডাউনের কারণে তাদের শহর ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না। এরপর তাঁদের মারেদপল্লীর একটি প্রেক্ষাগৃহে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে হয়। তাদের খাবার দেওয়া হয়।”
খাবার খেয়ে, কিছু শিক্ষার্থী মেঝেতে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন, তখনই লোগেশ হঠাৎই টলে পড়ে। সাথে সাথে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যেহেতু তিনি গত নয় দিন ধরে ভ্রমণ করছিলেন, সম্ভবত ডিহাইড্রেশনের কারণে তাকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।ঘটনার খবর পুলিশের কাছ থেকেই খবর পেয়েই তার আত্মীয় স্বজনরা ছুটে এসে তাকে শনাক্ত করে। ময়না তদন্তের পরে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।