Homeএখন খবরমর্মান্তিক দুর্ঘটনা বালিচকের ডুঁয়াতে! ফলকনামা সুপারফাস্ট পিষে দিয়ে গেল খড়গপুরের ৩ রেলকর্মীকে...

মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বালিচকের ডুঁয়াতে! ফলকনামা সুপারফাস্ট পিষে দিয়ে গেল খড়গপুরের ৩ রেলকর্মীকে , আশঙ্কায় আরও ১

According to a railway source, the deceased were identified as Bapi Naik, Manik Mandal and Nipen Pal. They died on the spot. Kisan Beshra was rescued in a critical condition. Among them, Bapi's house is in Mirupur, adjacent to Ward No. 25 of Kharagpur Municipality. The incident has cast a shadow of mourning over Kharagpur city. Nipen Pal's house is in Kaushalya area of ​​Kharagpur city. Manik Mandal's house is said to be in Radhamohanpur. Aditya Kumar Chowdhury, senior divisional commercial manager of Kharagpur Railway, said a high-level inquiry committee has been formed. Additional Divisional Mechanical Engineer Sumit Gupta, Senior Section Engineer (Breakdown) Sushant Ghosh and Junior Engineer Anupam Roy rushed to the spot.

বাপী নায়েক

বিভূ কানুনগো: হৃদয়বিদারক মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় রেল লাইনে পিষে গিয়ে মৃত্যু হল রেলের ৩ কর্মচারীর। শনিবার রেল লাইনে কর্মরত অবস্থায় তাঁদের পিষে দিয়ে চলে গেল আপ সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেস। এদিন সকাল ৯.৫৫ নাগাদ ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার অন্তর্গত খড়গপুর-হাওড়া শাখার অন্তর্গত বালিচক ও ডুঁয়া স্টেশনের মধ্যবর্তী মেইন লাইনে। রেলসূত্র মারফৎ জানা গেছে রেলের পাঁশকুড়া ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধীনে কাজ করছিলেন ওই শ্রমিকরা।

ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক শ্রমিক। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কা জনক বলেই জানা গেছে। তাঁকে দ্রুততার সঙ্গে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রেলের একটি সূত্র জানিয়েছে দুর্ঘটনায় মৃত রেল কর্মীরা হলেন বাপি নায়েক, মানিক মন্ডল, নিপেন পাল। এঁদের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে কিষান বেশরাকে।

কিষান বেশরা

এঁদের মধ্যে বাপীর বাড়ি খড়গপুর পৌরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া মীরুপুরে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে খড়গপুর শহরে। নিপেন পালের বাড়ি খড়গপুর শহরের কৌশল্যা এলাকায়। মানিক মন্ডলের বাড়ি রাধামোহনপুরে বলে জানা গেছে।খড়গপুর রেলের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার আদিত্য কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। কেন ওই কর্মীরা ট্রেনের আওয়াজ পেলেননা, কেনই বা রেল লাইননে কাজ চলার সময় ট্রেন চলে এল আর কেনই বা ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণে ছিলনা সবটাই খতিয়ে দেখতে ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বা DRM স্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

উদ্ধার করা হচ্ছে দেহ

ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন অতিরিক্ত ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সুমিত গুপ্তা, সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (ব্রেক ডাউন) সুশান্ত ঘোষ এবং জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার অনুপম রায় সহ একগুচ্ছ রেল আধিকারিক।

বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানিয়েছেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা স্তম্ভিত হয়ে গেছি। কর্মরত গ্যাংম্যানদের ওপর দিয়ে কী করে ট্রেন ছুটে যায়? আমরা জানতে পেরেছি হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদ অভিমুখে ছুটে ফলকনামা সুপারফার্স্ট এক্সপ্রেসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছিল। আমাদের প্রশ্ন রেলের কর্মীরা রেল লাইনে কাজ করছে তা আগের এবং পরের দুটি স্টেশনেই অবহিত করা হয়ে থাকে তবুও কি করে এই ঘটনা ঘটলো? কোন কি সিগন্যাল ছিল না?

তখনও পড়ে পা!

অধিকারী বলেন, আমরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং যথাযথ তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করা হোক। কেন এই ঘটনা ঘটলো? পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু ১জনের চাকরি ও ৫০লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দাবি করছি আমরা।   আপডেট পেতে রিফ্রেস করুন                        

RELATED ARTICLES

Most Popular