Homeএখন খবরছেলে বাবার পর এবার করোনায় আক্রান্ত গৃহবধূও, কোয়ারেন্টাইন নিজামপুরে 'নিধিরাম সর্দার' হয়ে...

ছেলে বাবার পর এবার করোনায় আক্রান্ত গৃহবধূও, কোয়ারেন্টাইন নিজামপুরে ‘নিধিরাম সর্দার’ হয়ে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে মুম্বাই ফেরৎ সোনার কারিগর নিজামপুর গ্রামের করোনা আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী ও এবার আক্রান্ত হলেন করোনায়। রবিবার তার কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসার পরই তাঁকে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতাল থেকে বেলেঘাটা আই.ডি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর আগে যুবকের বাবাও করোনা সংক্রামিত হয়েছিলেন। যুবক ও তার বাবা দুজনেই বর্তমানে বেলেঘাটাতেই রয়েছেন। এবার সেখানে নিয়ে যাওয়া হল ২১ বছরের ওই গৃহবধূকেও। যুবকের মা বর্তমানে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতালেই রয়েছেন।

প্রথম স্তরে মায়ের করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরও ঝুঁকি নেয়নি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই পরিবারের আরও দুজনকে অবশ্য দাসপুর সরবেড়িয়া কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রেই রাখা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশ চন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, ” জেলার তৃতীয় কোভিড-১৯ পজিটিভ ওই বধূ আক্রান্ত যুবকের স্ত্রী। যুবকের মা নেগেটিভ হলেও আরও পর্যবেক্ষনের জন্য তাঁকে করোনা হাসপাতালেই রাখা হয়েছে।”
উল্লেখ্য মাত্র ৬ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। ২২তারিখ মুম্বাই থেকে ফেরার পর শ্বশুরবাড়িতেও গিয়েছিলেন ওই যুবক। দাসপুর থানার উত্তর ধানখোলা গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে তাই একদিকে দুশ্চিন্তা অন্য দিকে আতঙ্ক। দুশ্চিন্তা মেয়ে জামাই দুজনই করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় আর আতঙ্ক জামাই এসেছিল বাড়িতে। যে জামাইয়ের কাছ থেকে তার বাবা ও স্ত্রী দুজনেই সংক্রামিত হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর অবশ্য পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে।

এদিকে পরপর একই পরিবার তথা গ্রামে তিনজনই করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আরও আতঙ্ক বেড়েছে নিজামপুরের পশ্চিমপাড়া। পুরোপুরি কোয়ারেন্টাইন গ্রামের ১৫২টি পরিবার যেন আতঙ্কে হিম হয়ে আছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ওই গ্রামকে ব্লক করে রাখা ৪টি পুলিশ চৌকির পুলিশ কর্মীদের। তিনটি শিফটে কাজ করা ৭২ জন পুলিশ ও সিভিক কর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত মাস্ক গ্লাভস সরবরাহ করতে পারেনি প্রশাসন। গ্রামকে স্যানেটাইজ করা হয়নি। যেহেতু গ্রামের কাউকেই বেরুতে দেওয়া হচ্ছেনা তাই সমস্ত পরিবারের যা কিছু প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে পুলিশ ও সিভিকদের। অথচ তাঁদের মাস্ক আর গ্লাভস না থাকায় আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরাও। কেউ কেউ নিজের রুমাল মুখে বেঁধেই কাজ চালাচ্ছেন।

সর্বনাশের মুখে গ্রামের চাষিরা। দুর্বাচটি নদীর পাড়ে সমৃদ্ধ সবজির ভান্ডার ওই গ্রাম। মাঠে পড়ে রয়েছে শশা , ঝিঙে , উচ্ছে সহ নানা সবজি। নিজামপুর শুনে কেউ যেতে চাইছেনা গ্রামে আর তারই সুযোগ নিচ্ছে ফোড়ের দল। তিন থেকে পাঁচ টাকা কিলোয় সবজি কিনছে তারা। গ্রামের চাষির দল অসহায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular