ওয়েব ডেস্ক : বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লার হত্যার পর থেকেই উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার আঁচ গিয়ে পৌঁছেছে দিল্লিতে। এই পরিস্থিতিতে মণীশ হত্যাকাণ্ডের নয়া মোড়। মণীশ খুনে এবার দুই প্রশাসনিক কর্তকে তলব করল রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ। জানা গিয়েছে, মণীশের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবারই CID-র তরফে ব্যারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাসকে তলব করা হয়েছে। একইসাথে এদিন টিটাগড়র পুরসভার প্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীকেও তলব করেছে রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ।
এদিকে, সম্প্রতি বিজেপি নেতা মণীষ শুক্লার খুনের ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য রাজনীতিতে সেই প্রভাব পড়েছে৷ রাজ্য সরকারের তরফে মণীশ খুনের পর পরই তাঁর খুনের তদন্তভার CID-র হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর দিন যত এগোচ্ছে মণীশ খুনের রহস্যের জট ক্রমশ আলগা হচ্ছে৷ মণীশ শুক্ল খুনে যে বড়সড় জাল বিছানো হয়েছিল তা একেবারেই স্পষ্ট হয়ে যায়। জানা যায়, বিহারের জেলে বসেই মণীশ খুনের রিমোট কন্ট্রোল করেছে এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিং। এই হত্যার পিছনে যে সুবোধ সিংয়ের ভূমিকা রয়েছে স্পষ্ট হয় CID -র তদন্তে৷ তবে তাঁর খুনের অন্যতম চক্রীকে কাছে পেয়েও বাগে পায়নি CID। কুখ্যাত দুষ্কৃতী সুবোধ সিংকে এই মূহুর্তে নালন্দা জেলেই রেখে আসতে হয়েছ। এদিকে সামনেই নির্বাচন, তারওপর আইনী গ্যারাকল রয়েছে, সেকারণে এই মূহুর্তে আপাতত সমস্তটাই থমকে গিয়েছে। তবে যেহেতু মণীশ শুক্লার পরিবারের তরফে দুই প্রশাসকের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেকারণে তাদের জেরায় খানিক জট খুলতে পারে বলেই আশাবাদী CID আধিকারিকরা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মণীশ হত্যার পর সরাসরি শাসকদলের ২ বিধায়কের নাম নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। কিছুদিন আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি সরাসরি দুই বিধায়কের নাম নিয়ে বলেন, পানিহাটির বিধায়ক তথা পানিহাটি পুরসভার মুখ্য প্রশাসক নির্মল ঘোষ মণীশকে খুনের চক্রান্ত করেছেন।
তবে শুধুমাত্র নির্মল ঘোষ নয়, একই সাথে ওইদিন মণীশ খুনে ব্যারাকপুরের দীর্ঘ কয়েকবারের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্তকেও কাঠগড়ায় তুলেছিলেন অর্জুন সিং। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছিলেন , মণীশ যে খুন হবেন সে খবর নির্মল ঘোষের কাছে আগে থেকে ছিল। তিনিই ষড়যন্ত্র করে পুলিশের সাথে হাতমিলিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় মণীশের খুন করিয়েছেন।