নিজস্ব সংবাদদাতা: আর মাত্র কয়েকঘন্টা বাকি! রাত পোহালেই ২০২১ বাংলা দখলের প্রথম দফার লড়াই শুরু। সেই উপলক্ষ্যে চূড়ান্ত ব্যস্ততা প্রশাসন আর পুলিশের তরফে। শেষ খবর পাওয়া অবধি জেলা গুলির ডেসপাচিং সেন্টার এন্ড রিসিভিং সেন্টার বা এক কথায় ডিসিআরসি গুলি থেকে ইভিএম ও ভিভিপ্যাড মেশিন সহ যাবতীয় সরঞ্জাম নিয়ে রওনা দিয়েছেন প্রান্তিক এলাকার ভোট কর্মীরা। সঙ্গে রয়েছে ইন্ট্রারেড থার্মোমিটার, মাস্ক আর স্যানিটাইজার। লক্ষ্য সূর্য ডোবার আগেই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়া।
এবার পূর্বের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে মোট ৮ দফায় ভোট হচ্ছে বাংলায়। আর তারমধ্যে প্রথম দফায় ভোট হচ্ছে পাঁচটি জেলায়। এই পাঁচটি জেলা হল দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। এই ৫টি জেলার মোট ৩০ টি আসনের জন্য শনিবার, ২৭শে মার্চ সকাল ৬টা থেকেই শুরু হচ্ছে ভোট।
পাঁচটি জেলায় যে বিধানসভার জন্য ভোট নেওয়া হচ্ছে সেগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুরের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র হল পটাশপুর, কাঁথি উত্তর,ভগবানপুর, খেজুরী, কাঁথি দক্ষিণ, রামনগর, এগরা,
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্র হল দাঁতন, কেশিয়াড়ী, খড়গপুর গ্রামীন,
গড়বেতা, শালবনী, মেদিনীপুর। ঝাড়গ্রামের ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৪টিতেই ভোট হয়ে যাচ্ছে প্রথম দফায়। এগুলি হল নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বিনপুর। পুরুলিয়ার জেলার ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটও প্রথম দফায় সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এই কেন্দ্র গুলি হল বান্দোয়ান, বলরামপুর,বাঘমুন্ডি, জয়পুর, পুরুলিয়া,
মানবাজার, কাশীপুর, পারা, রঘুনাথপুর। প্রথম দফায় বাঁকুড়ার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্র শালতোড়া, ছাতনা রানিবাঁধ, রাইপুরের জন্য ভোট গ্রহণ করা হবে।
এই ভোট গ্রহণের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার সকাল থেকে আন্তঃ রাজ্য সীমান্ত পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামের ঝাড়খন্ড লাগোয়া চিচড়া এবং ওড়িশা লাগোয়া হাতিবাড়ি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ওড়িশা লাগোয়া দাঁতনের সোনাকনিয়া ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর লাগোয়া ওড়িশা এবং বাঁকুড়া, পুরুলিয়া লাগোয়া ঝাড়খন্ড সীমান্ত পুরোপুরি সিল। জাতীয় এবং রাজ্য সড়কগুলোর ওপারে থমকে রয়েছে হাজার হাজার পণ্যবাহী গাড়ি।
এই পর্যায়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রথম পর্যায়ের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্র দাঁতন, কেশিয়াড়ী, খড়্গপুর, মেদিনীপুর, শালবনী ও গড়বেতার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৩৫ জন প্রার্থী। বুথ রয়েছে ২০৮৯টি। এই বুথের সম্মিলিত ভোটারের সংখ্যা ১৪লক্ষ ৮৬ হাজার ৭০৮ জন। সর্বমোট ৮৩৫৬জন ভোট কর্মী নিযুক্ত হয়েছেন ভোট গ্রহণের জন্য। ১২৪ কোম্পানী বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হচ্ছে সঙ্গে প্রায় থাকছে রাজ্যের পুলিশও। বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৬জন কেন্দ্রীয় নির্বাচনী পর্যবেক্ষক থাকছেন এই ভোট পরিচালনা ও নজরদারির জন্য। কোনোও ধরনের বেনিয়ম, অনিয়ম বা অসুবিধা হলে এঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন যে কোনও কেউই।
পর্যবেক্ষক (সাধারন) গোপালবন্ধু সতপথী (৯৪৩৭১০১০২২) – খড়্গপুর, সুশীল কুমার (৯৪১২০৫০০০৯)– দাঁতন ও কেশিয়াড়ী
রঞ্জিৎ কুমার সিংহ (৮৩৯৫৮৮৯৩১১) – গড়বেতা ও শালবনী। মহেন্দ্র কুমার পরখ (৯৪১৪২৫৩৫৪২) – মেদিনীপুর
পর্যবেক্ষক (পুলিশ)
টি কেন্ডাসামী (৯৯৪০০৭৭২৩৪) – দাঁতন, কেশিয়াড়ী ও খড়্গপুর। জি আখেটো সেমা (৮১১৯৮৯১৩৪২) – মেদিনীপুর, শালবনী ও গড়বেতা। ভোটার থেকে প্রার্থী, প্রিসাইডিং অফিসার সবার জন্যই এঁদের ফোন ২৪ঘন্টা খোলা।