নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ক্রমশই ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে করোনা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্য জুড়ে ১৭ হাজার ২০৭ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে করোনা। মৃত্যু হয়েছে ৭৭ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় একদিনে সংক্রমিত ৩ হাজার ৮২১ এবং মৃত ২২। দ্বিতীয় স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা; আক্রান্ত ৩ হাজার ৭৭৮ এবং মৃত ১৬। সেইসঙ্গেই অন্যান্য যে জেলাগুলি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেগুলো হল- হাওড়া; একদিনে আক্রান্ত ৯৫৫ এবং ৫জনের মৃত্যু। হুগলি; একদিনে আক্রান্ত ৮৮২ এবং মৃত ৫। বীরভূম; একদিনে আক্রান্ত ৭৮২ এবং ৪ জনের মৃত্যু। দার্জিলিংয়; একদিনে সংক্রমিত ৩৯৫ এবং ৩ জনের মৃত্যু। জলপাইগুড়ি; একদিনে আক্রান্ত ২৪২ এবং ৫জনের মৃত্যু। নদিয়া; একদিনে আক্রান্ত ৬৯০ জন এবং মৃত ৪ জন।
পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৯৩৩ জন। সুস্থতার হার ৮৫.২৬ শতাংশ। বর্তমানে হোম কোয়ারান্টিনে আছেন ৩১ হাজার ১৪৬। এখনও পর্যন্ত রাজ্য়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫৫২ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ১৫৯। এই মুহূর্তে রাজ্যে করোনার সক্রিয় কেস ১ লক্ষ ৫ হাজার ৮১২।
এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেই রাজ্যের একাধিক জেলা থেকে ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে চরম হয়রানির অভিযোগ উঠে আসছে। দক্ষিণ থেকে উত্তর সর্বত্র প্রায় এক চিত্র। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টিকা না নয়েই ফিরতে হচ্ছে অনেককেই, অভিযোগ উঠছে এমনটাই। জানা যাচ্ছে, বেসরকারি হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। তবে তাদের সেকেন্ড ডোজ ভ্যাকসিন দিতে সাহায্য করা হবে বলে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ভ্যাকসিন সঙ্কটও দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আরও জানানো হয়েছে, দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসবের মধ্যে খুশির খবর, বুধবার কলকাতায় এসেছে কোভিশিল্ডের আরও ১০ লক্ষ ডোজ ৷ এই ১০ লক্ষ ডোজের মধ্যে ৪ লক্ষ ডোজ রাজ্যের এবং বাকি ৬ লক্ষ ডোজ থাকবে হেস্টিংসের সেন্ট্রাল স্টোরে ৷ সেগুলিকে পাঠানো হবে অন্যান্য রাজ্যে ৷